December 23, 2024, 6:30 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে প্রতারক চক্র। মনে করা হচ্ছে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে এ অপকর্ম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে কলেজ পরিদর্শন কেএম রব্বানিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অডিট কর্মকর্তা আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং সাতটি ও শাহী লাল স্টোর নামে দুটি প্রতিষ্ঠান ৯টি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার চেকের মুড়ি বইয়ের সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। মুড়ি বাইয়ের চেকের অঙ্কের সঙ্গে ইস্যুকৃত চেকের অঙ্কের মিল নেই। ধারণা করা হচ্ছে বোর্ডের কর্মচারীদের যোগসাজশে ভুয়া চেকের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবোর্ড শাখার ব্যবস্থাপক এসএম শাহিদুর রেজা বলেন, ভেনার্স প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ঢাকার ফকিরাপুল ঠিকানার চেক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে এসব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী রেজা বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী মালামাল ক্রয় করা হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংক থেকে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে বোর্ডের নথিতে কোনো বিলভাউচার জমা নেই। ভেনার্স প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এর আগে কিছু মালামাল দিলেও শাহী লাল স্টোরের সঙ্গে কোনো লেনদেন হয়নি।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, বোর্ডের চেক প্রিন্ট করা। সেখানে হাতে লেখার সুযোগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে জালিয়াতি করে ভুয়া চেকের মাধ্যমে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত বলেন রোববার সব নথি তলব করা হবে। সরকারের টাকা আত্মসাতের সঙ্গে যারাই জড়িত হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply